এনডিটিভি জানিয়েছে, এই ঘটনা ঘটে ভারতের রাজস্থানের মহিলারা দুদু জয়পুর জেলার চাপিয়া গ্রামে।
কমলেশ (২০), মমতা (২৩) এবং কালু মীনা (২৫)নামের ওই তিন বোন উল্লেখিত গ্রামের একই পরিবারের আপন তিন ভাইকে বিয়ে করেছিলেন।
যৌতুকের জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন নিয়মিত চাপ দিত এবং এর সাথে শারীরিক নির্যাতন করতো বলে অভিযোগ এসেছে পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে।
হেমরাজ মীনা তাদের চাচাতো ভাই বলেন, আমার তিন বোনের ওপর যৌতুকের জন্য নিয়মিত মারধর এবং হয়রানি করা হতো। গত বুধবার ২৫ মে নিখোঁজ হয়ে গেলে, তাদের আমরা বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে বেড়িয়েছি তাতে কোনো খোঁজ মেলেনি। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে আমরা এফআইআর করেছি। আমাদের কোন সাহায্য করা হয় নাই।
কোন প্রকার সুইসাইড-নোট না পাওয়া গেলেও ছোট বোন কমলেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে হিন্দিতে একটি স্ট্যাটাস শেয়ার করেছেন। লিখেছেন, আমাদের মৃত্যুর কারণ আমাদের শ্বশুরবাড়ি। আমরা পৃথিবী থেকে বিদায় নিচ্ছি। প্রতিদিন এরকম নির্যাতন সহ্য করার চেয়ে একেবারে মরে যাওয়া ভালো। এই জন্য আমরা প্রতিদিন মৃত্যুর যন্ত্রণা সহ্য না করে একসঙ্গে মরার সিদ্ধান্ত নিলাম।
আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস পরের জনমে হয়তো আমরা একসঙ্গে থাকব। আমাদের মরার কোন ইচ্ছাই ছিলনা। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কারণে আমরা সুসাইড করতে বাধ্য হয়েছি। শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমাদের মৃত্যুর জন্য দায়ী। আমাদের মা-বাবাকে দায়ী করবেন না।
শনিবার সকালে নিখোঁজ হওয়ার চার দিন পর পুলিশ ওই তিন বোন ও তাদের দুই সন্তানের লাশ দুদু গ্রামের একটি কুয়া থেকে উদ্ধার করেছে।
পুলিশ সূত্র ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানিয়েছে, স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে।
এই মৃত্যুর ঘটনায় তিন বোনের স্বামী, শশুর-শাশুড়ি ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জেরা করছে পুলিশ ।
0 মন্তব্যসমূহ